নালিতাবাড়ীতে শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্যালকের লোহার শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে। এদিকে শুক্রবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শ্যালককে আটক করেছে। নিহত মজিবুর রহমান (৬০) উপজেলার কালিনগর গ্রামের মৃত মেরু মিয়ার ছেলে। আর অভিযুক্ত শ্যালক ইউনুস আলী (৩৫) একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় মজিবুর রহমান ও তার শ্যালক ইউনুস আলী পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করতেন। তিন বছর আগে ইউনুসকে রেখে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে নিয়ে রাজধানীতে কাজের সন্ধানে চলে যান। এরপর থেকে ইউনুস একাই বাড়িতে বসবাস করতেন।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনুস তার বাড়ির আঙিনার ওপর দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধের জন্য বাঁশের বেড়া দিতে যান। ওইসময় পাশের বাড়িতে থাকা তার দুলাভাই মজিবুর বেড়া দিতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ইউনুসের হাতের কাছে থাকা লোহার শাবল দিয়ে সজোড়ে মজিবুরের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে গেলে মজিবুর মাটিতে পড়ে যান। এসময় বাড়িতে থাকা স্বজনরা দ্রুত আহত মজিবুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে বিকেলে মজিবুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শেরপুর নিয়ে যাওয়ার পথে গাজিরখামার এলাকায় মজিবুরের মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ইউনুস আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মজিবুরের লাশ উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের ছেলে শুক্রবার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে সকালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত ইউনুসকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। একইসাথে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইউনুসকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।