নকলায় অগ্নিকান্ডে ঔষধের দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শেরপুরের নকলা পৌরশহরে একটি ঔষধের দোকানে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ঔষধ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে ঔষধের দোকানের পাশে থাকা আরেকটি চা-কফি ও ফাস্টফুডের দোকান। দোকান দুটো ওইসময় সাটারবদ্ধ ছিল। দোকানের ভিতরে ছিলো না কোন লোকজন। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নকলা পুলিশ স্টেশনের দক্ষিণ পাশে পাকা সড়ক সংলগ্ন একটি পাঁচতলা ভবনের নীচতলায় কাজল মেডিকেল হলে ওই ঘটনা ঘটে। ভবনটির দোতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত রয়েছে নূরে মদিনা মাদরাসা নামে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাড়ায় নেওয়া ওই দোকান মালিকের নাম কাজল মিয়া। তিনি নকলা পৌরসভার বাদাগৈড় মহল্লার বাসিন্দা।

বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, আগুনের লাগার খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দ্রুত ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। খবর দেওয়া হয় শেরপুর ও নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে নালিতাবাড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০ লাখ টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ওসি হাবিবুর রহমান।
নূরে মদিনা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব জানান, রাত ৩টার দিকে দোকানের ভিতর থেকে কালো ধোয়া বের হতে দেখে ফোন করি দোকান মালিক কাজল মিয়াকে। তারপর উপর তলা থেকে মাদরাসার ৩৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষককে পাশের ভবনের ছাদে সরিয়ে নেই। সেখান থেকে তাদেরকে রশি দিয়ে নীচে নামিয়ে নেওয়া হয় নিরাপদ জায়গায়।
ঔষধের দোকানের মালিক কাজল মিয়া জানান, আমি রাত ১২টার পর দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে আসি। তারপর রাত ৩টার দিকে মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে দোকানে যাই। কোনকিছুই বাঁচাতে পারিনি। দোকানের সমস্ত ওষধ, হিসাবপত্র, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা, ফ্রিজসহ সবকিছু চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
নকলা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জুয়েল মিয়া জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান দু’টি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক বরাবর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।