শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিল: মডেল মেঘনা আলম অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫ শুধু সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশে থাকা আলোচিত মডেল মেঘনা আলম। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পুলিশের দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। শুনানির সময় মেঘনার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না, তিনি নিজেই আদালতে কথা বলেন। একই মামলায় তার কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সামিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’ মেঘনার পক্ষে কোনো আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত মেঘনার কাছেই জানতে চান, তিনি কিছু বলবেন কিনা। জবাবে মেঘনা আলম আদালতকে বলেন, ‘আমাদের কোনো আইনজীবী নেই।’ এরপর তিনি কথা বলতে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে মেঘনা বলেন, ‘মামলায় বলা হয়েছে, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও এম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করার কথা। অন্য কোনো বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্ক।’ মেঘনা আরো বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছ…. আমার প্রশ্ন যে কেউ চাইলে কি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে পারে? আপনারা কি তাঁর কাছে যেতে পারবেন?’ এরপর আদালত তাকে থামিয়ে মামলার বিষয়ে কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। তখন মেঘনা বলেন, ‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, কোনো আইনজীবী পাবেন না।’ মেঘনা আরো বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন, আমি নাকি তাঁর বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি— এটা মোটেও সত্য না। এ বিষয়ে আমি ঈসার সঙ্গে কথা বলি। তাকে এসব তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলি। এসব বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি শফিকুরের সঙ্গে কথা বলি। এরপরেই পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করে।’ সৌদি রাষ্ট্রদূত নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে মডেল মেঘনার পরিবারসৌদি রাষ্ট্রদূত নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে মডেল মেঘনার পরিবার এদিকে শুনানি সময় দেওয়ান সামির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে— এটা ভুল তথ্য, তাঁর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী গ্রেপ্তার দেখানোর যুক্তি তুলে ধরে আদালতে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বারবার ‘মেঘলা আলম’ উচ্চারণ করেন। মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছাড়েন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসামডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছাড়েন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা এসময় মেঘনা তাঁর নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’ শুনানি শেষে আদালত দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখান এবং সামিরকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। হাজতখানায় নেওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’ এ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে আর কোনো কথা বলতে দেওয়া হয়নি। Related posts:আজ বিশ্ব বয়ফ্রেন্ড দিবসঅভিনেতা সেলিম আহমেদ আর নেইসুশান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন, বান্ধবী রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের Post Views: ৭২ SHARES বিনোদন বিষয়: