ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পেলে শাস্তি দেওয়া হবে : বিসিবি সভাপতি

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গেল আসরের একাধিক ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ ওঠার পর, এবার ঢাকার ঘরোয়া লিগেও এলো নতুন করে অভিযোগ।

তবে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ মনে করেন, ম্যাচ ফিক্সিং অনেকাংশে কমে এসেছে, কিন্তু পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।
সম্প্রতি গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার একটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ার পর সেই ম্যাচ নিয়ে বিসিবি ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
শনিবার ‘খেলবেই বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত যুবকদের মধ্যে ক্রিকেট প্রচারের জন্য একটি ক্রিকেট কার্নিভাল প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডিভিশনে ফিক্সড ম্যাচ অনেক কমে গেছে, তবে এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।’
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘যদি ম্যাচ ফিক্স করা হয়, তাহলে ভালো খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না, কারণ আপনি আপনার সেরা খেলোয়াড়কে শূন্য রানে আউট হতে বলছেন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াইড, নো বল করতে বলবেন। বলবেন উইকেট না নিতে। এটি ক্রিকেট নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দুই-তিন দিন আগে আইসিসি মিটিং থেকে ফিরেছি। আমাদের একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। আমরা বিস্তারিত তদন্ত করব। যদি কোনো প্রমাণ পাই, তাহলে দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।’
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিসিবি সদর দপ্তরে অভিযান চালায়। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘আমি যেদিন আইসিসি মিটিং থেকে ফিরি, সেদিনই দুদক আসে। আমি নিশ্চিত তারা নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এসেছে। বোর্ড পূর্ণ সহযোগিতা করবে। যেসব কাগজ বা তথ্য তারা চাইবে, আমরা দেব। আমি সিইওকে বলেছি, দুদকের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে। সে এখন সেটার কাজ করছে। তবে তারা কতদূর তদন্ত করবে সেটা এখনই বলা সম্ভব না।’