হাড় কাঁপানো শীতে নেত্রকোনায় জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : পৌষের প্রথম সপ্তাহেই হাড় কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে হাওর ও পাহাড় বেষ্টিত জেলা নেত্রকোনায়। গত দুই দিনের চেয়ে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।

সারা দিনেও দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও যানবাহন চলাচল করেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডার প্রকোপ বেশি হওয়ায় এ এলাকার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরেও মানুষের চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। তবে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম বেকায়দায়।

শীতের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, জ্বর, শীতজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন ছিন্নমূল, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ।

এদিকে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম শহরের বড় রেল স্টেশন, চকপাড়া, ঠাকুরাকোণা রেল কলোনি ও ঠাকুরাকোণা মদরাসাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিন শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

এছাড়া শহরের আনন্দবাজার, পারলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দুই শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এবং জেলা শহরের বর্নী বাসস্ট্যান্ড ও কুরপাড় এলাকায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান মো. তাজুল ইসলাম আরো দুই শতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। বৃহস্পতিবারও (১৯ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া এ জনপদের মানুষ বেশ বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষগুলো খুবই কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়াতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলার ১০টি উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।