শেরপুরে অঘোষিত লকডাউনে কঠোর তৎপরতায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০২০ স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে অঘোষিত লকডাউনে কঠোর তৎপরতায় রয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ। ২৭ মার্চ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অঘোষিত লকডাউন। দুরপাল্লার যানবাহন বন্ধ হওয়ায় এবং দোকানপাট বন্ধ থাকার কারণে শেরপুর জেলা শহরে চলছে সুনসান নিরবতা। শুধু জেলা শহরই নয়, জেলায় সবকটি উপজেলায় একি চিত্র দেখা গেছে। ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের কিছু দোকান ছাড়া সব বন্ধ। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট প্রচারণার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে প্রতিদিন হোম কোয়ারেন্টাইন ও বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এজন্য ইতোমধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় ৪ জনকে জরিমানাসহ প্রায় প্রতিদিনই ভোক্তা অধিকার আইনে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের দণ্ডিত করা হচ্ছে। এছাড়া বুধবার ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতি, ঔষধ বিপণন সমিতি এবং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে সভা করে তাদের দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম জানান, আমরা আছি আপনার পাশে, মানবিক পুলিশের চোখে জনতার আকাক্সক্ষা লেখা থাকে- শেরপুরে আমরা এ সংকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছি। বর্তমানে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ তথা জাতির চরম ক্রান্তিকালে সেই সংকল্প বাস্তবায়নে তৎপরতা যথেষ্ট বাড়ানো হয়েছে। তারই আওতায় জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট প্রচারণার পাশাপাশি শহরে যানবাহন ও জনযাতায়াত বন্ধে কাজ করছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকে শহরে পুলিশের তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। অবস্থার আলোকে কঠিন পরিস্থিতিতেও ভয়কে জয় করে পুলিশ মাঠে থাকবে। অন্যদিকে বিশেষ অবস্থার সুযোগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও যেন অবনতি না ঘটে, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। জানা যায়, এ জেলায় এখন পর্যন্ত কারোনা আক্রান্ত কোন রোগী চিহ্নিত হয়নি। জেলায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা প্রস্তুতিসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড, ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালে ২০ টি শয্যা, শ্রীবরদী হাসপাতালে ২০ টি শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ টি শয্যা ও নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০টি শয্যা রয়েছে। করোনা সন্দেহ হলে নালিতাবাড়ী ও নকলার দুটি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন কক্ষে রাখা হবে। যদি করোনার কোন সংক্রামন পাওয়া যায়, তাহলে তা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শেরপুরে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের মেজর তৌফিকুল বারীর নেতৃত্বে ১ ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েন হয়েছে। Related posts:শ্রীবরদীতে যথাযোগ্য মর্যদায় জাতীয় শোক দিবস পালিতশেরপুরে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভআইজিপির দায়িত্ব নিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন Post Views: ৩৩১ SHARES জাতীয় বিষয়: