বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলেও ২১ হাজার টাকা বিল!

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি ॥ মাদারগঞ্জে দুই বছর ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও এক ব্যক্তির নামে পল্লীবিদ্যুতের বিল এসেছে ২১ হাজার ৪শ ৮৯ টাকা। এতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার আদারভিটা বাজারে ছালাম সরকার রাইস মিল মালিক রাফিউল ইসলাম জানান, দুই বছর ধরে তার রাইস মিলটি চালানো হচ্চে না। এ দুই বছর ধরে তিনি সর্বনিম্ন বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছেন। হঠাৎ করে অক্টোবর মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসে ২১ হাজার ৪শ ৮৯ টাকা। বিষয়টি তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের বিলিং সহযোগী সালমা অক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এটি একটি ভুল জানিয়ে বলেন, লাইনম্যানরা যেভাবে রিডিং এনে দেয় সেভাবেই বিল তৈরি করা হয়। পরে তিনি বিলটি সংশোধন করে ১৪৫৬ টাকা করেন। অপরদিকে উপজেলার হেমবাবাড়ি গ্রামে সেলিম নামে এক কৃষকের পল্লী বিদ্যুতের সেচ সংযোগে অক্টোবর মাসে ৪০ হাজার টাকার ভৌতিক বিল উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গ্রাহকদের কাছ থেকে এ ধরণের ভুয়া বিল আদায় করে পরে তা সংশোধন করে বাড়তি টাকা নিজেরাই পকেটে ভরছেন।
পল্লীবিদ্যুৎ মাদারগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম জসিম উদ্দিন বলেন, ভুল বসত হিসাব নাম্বারের স্থলে রিডিং নাম্বার বসানো কারণে ছালাম সরকার রাইস মিলের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল এসেছিলো। ভুলটি সংশোধন করা হয়েছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে ভুয়া বিল আদায়ের পর তা সংশোধন করে অতিরিক্ত টাকা নিজেদের পকেটে ভরার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন; এ ধরনে সুযোগ নাই। অতিরিক্ত বিল আদায় হলেও তা গ্রাহকদের এ্যাকাউন্টেই জামা থাকে।