পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২১

ভারত সরকারের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয় মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কুমিল্লার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি দুঃখিত, কিছু কিছু জায়গায় এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়।’ ভারত সরকারের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স প্রদান উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর শুক্রবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে পশ্রয় দেবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে যে কথা লেখা আছে, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে সংবিধান উপহার দিয়েছেন, সে সংবিধানের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারত প্রথম স্বীকৃতি দেয়। আমরা বাঙালি, আমাদের দুঃসময়ে যারা সাহায্য করে। বন্ধুদের হাত বাড়িয়ে দেয় আমরা তাদের কখনো ভুলি না।’
‘যতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ জীবিত থাকবে, যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ জীবিত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও জীবিত থাকবে।’ অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ায় তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশকে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশও ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে জনস্বাস্থ্য ও জনগণের কল্যাণের জন্য ভারত তার সামর্থ অনুযায়ী সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এসময় অন্যদের মধ্য বক্তব্য দেন সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দোরাইস্বামীর স্ত্রী, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর হাতে আখাউড়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত আখাউড়ার দর্শনীয়দের স্থানের আলোকচিত্র উপহার দেন। অনুষ্ঠানে অন্য অতিথিদের ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।