শেরপুরে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, তদারকি নেই প্রশাসনের ! অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২১ স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে তরমুজের বাজারে ‘আগুন’ তদারকি নেই জেলা প্রশাসনের। রমজানের শুরু থেকেই চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি ফল তরমুজ। পবিত্র রমজানে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে বিক্রি করায় দোকানিরা চারগুন লাভবান হলেও ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা। কেজি হিসেবে তরমুজ কিনতে গিয়ে অতিরিক্ত দামে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সবসময় লেগেই আছে বাগবিতন্ডা। মৌসুমের শেষে পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের। ফলে যে যার মতো করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত। গত কাল শেরপুর পৌর শহরের বেশ কয়েকটি তরমুজের দোকানে দেখা যায়, ৭-৮ কেজি ওজনের এক একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায় যা রমজানের আগে ছিল আড়াইশ থেকে ৩শ টাকা। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করে বেশি মুনাফার জন্য এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তা কেজিতে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট খালি করছে। মৌসুমের শেষের দিকে এসেই যেনো শেরপুরের প্রতিটি বাজারে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। এজন্য বিক্রেতারা অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি তরমুজ বিক্রি করছেন। তবে পাইকাররা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে পিস হিসেবে নেওয়া তরমুজ খুচরা বাজারে কেজিতে বিক্রি করার কারণেই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে তরমুজের। শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজার, খরমপুর, কলেজ মোড়, নিউ মার্কেট তরমুজের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বাজারে এবার তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা না কিনে চলে যাচ্ছেন। এই গরমে মন চাইলেও অনেকে তরমুজ ছুঁয়ে দেখতে পারছেন না। জানা গেছে, সরাসরি ক্ষেত থেকেও পাইকাররা তরমুজ কিনে আনেন, আবার অনেক চাষি তরমুজ নিয়ে পাইকারদের কাছে আসেন। তবে যেভাবেই হোক না কেন এ বাণিজ্যে পিস হিসেবেই তরমুজের বেচা-বিক্রি চলে। আবার পাইকাররাও এনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পিস হিসেবেই বিক্রি করেন এসব তরমুজ। কিন্তু খুচরা বাজারে গিয়ে সেটি কেজি হিসেবে কিভাবে বিক্রি হচ্ছে সেটা কারও বোধগম্য নয়। যেখানে ক্রেতাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। ক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে একসঙ্গে অনেক তরমুজ কিনতে হয়, কিন্তু খুচরা বাজারে ভোক্তা তার প্রয়োজন অনুসারে কিনতে পারেন। এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা তরমুজ বাজারে সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। যে কারণে পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসেবে সব খুচরা ব্যবসায়ীরাই জোট বেধে তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন। এতে দ্বিগুণ লাভের আশায় এমনটা করা হচ্ছে। এক তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, ‘কারওয়ান বাজার ও চৌরাস্তা থেকে তরমুজ কেজি কিনে আনা হয়। যা কেজি প্রতি খরচ পড়ে ২৫ থেকে ৩০টাকা। শেরপুর আসা পর্যন্ত সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০টাকা। এজন্য খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০টাকা পর্যন্ত।’ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তরমজুরের কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, তাও বেশি দামে এমন তথ্য পেয়েছি। অবশ্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে। আমরা ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ Related posts:শেরপুরে চেম্বার অব কমার্সের সাথে বিডা’র মতবিনিময় অনুষ্ঠিতফ্রান্সে মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র কার্টুনের প্রতিবাদে শেরপুরে প্রতিবাদ সমাবেশশেরপুরে বন্যাদুর্গতদের পাশে র্যাব Post Views: ২৬৬ SHARES শেরপুর বিষয়: