মহিলা গদীনিশীনি গুলশানারা বেগম-রিয়াদ হাসানের নামে জমি দখল অভিযোগ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১ জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের নলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান আলী ১০/১২/১৯৭৪ সালে জামালপুর পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত বগাবাইদ গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের নিকট থেকে সাব কওলা মূলে ৩১ শতাংশ জমি জামালপুর সাব রেজিষ্টার অফিসে রেজিষ্ট্রি করেন। যার দলিল নাম্বার ২১৫২৩। জমি ক্রয় করার পর শাজাহান আলী মালিকানা হিসাবে ভোগদখলে ছিল। ভুলবশতঃ বিআরএস রেকর্ড সময় পূর্বের মালিকের নামে রেকর্ড হয়। ৩১ শতাংশ জমি রেকর্ড সংশোধনের জন্য শাজাহানের স্ত্রী মোছাঃ সালমা বেগম গং বাদী হয়ে জামালপুর বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫৭/২০২০। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। উল্লেখ্য যে, বিআরএস রেকর্ডে পূর্বের মালিকানাদের নাম যাদের রয়েছে তাদের মধ্যে কেউ দাবিদার হয়নি। উক্ত রেকর্ড মামলার জটিলতা সৃষ্টি করার ৩১ শতাংশ জমির পাশর্^বর্তী জমির মালিক কামাল উদ্দিন খান জামালী দীর্ঘদিন জীবিত থাকা অবস্থায় জমি দখল বা আত্মসাত করার চেষ্টা করেনি। বর্তমানে কামাল উদ্দিন খান জামালীর বোন বাগে আবেদ দরবার শরীফের গদিনীশিনী গুলশানারা বেগম ও কামাল খানের ছেলে রিয়াদ হাসান যৌথ মিলে আত্মসাত করার লক্ষ্যে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী দিয়ে শাজাহান আলীর লোকজনের উপর বিভিন্নভাবে জুলুম অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে রেকর্ড সংশোধনী মামলায় দাবিদার হিসাবে গুলশানারা বেগম ও রিয়াদ হাসান আদালতে আবেদন করেছে। এছাড়াও বগাবাইদ গ্রামের সানাউল্যাহ খানের ছেলে মাহাবুব আলম খান আদনানের নিজস্ব সাড়ে ৭ শতাংশ জমি গুলশানারা বেগম জোরপূর্বক দখল করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছে। গুলশানারা বেগমের স্বামী সরকারি চাকরিজীবী হলেও অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন চাকরি থেকে সাসপেন্ড ছিলো। তাদের বসবাস ময়মনসিংহ কামাল খান সাহেবের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। দুই ভাই এর মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাজিয়ে দু’ভাইকে বিভক্ত করে ছোট ভাই রিয়াদ হাসানকে দরবার শরীফের সাধারণ সম্পাদক করে ও গুলশানারা বেগম সভাপতি মনোনীত হয়ে তারা নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী ও তান্ডব বাহিনী বানিয়ে রিয়াদ হাসানকে সামনে রেখে কামাল খানের বড় ছেলে ফয়সাল খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানীসহ একাধিক মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ফয়সাল খান ও তার বড় বোনের পৈতৃক সূত্রে অংশে জায়গা আত্মসাত করার জন্য বিভিন্নভাবে পাঁয়তারা করছে। গুলশানারা বেগম ও রিয়াদ হাসান যৌথভাবে একটি সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী বানিয়ে ফয়সালের উপর গত ১০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ব্যাপকভাবে মারধর করে। এ ব্যাপারে জামালপুর থানায় মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র রিয়াদ হাসানকে সামনে রেখে ফায়দা লুটার জন্য কতিপয় অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় ফয়সাল খানকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে কিশোরগঞ্জের সাদম আলী ও আলমগীর, মেলান্দহের মতু, হান্নান আলামীন ও রফিকুলসহ আরো কতিপয়ের নাম বিশেষ সূত্রে জানা যায়। ফয়সাল খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার পৈতৃক অংশ আত্মসাত করার লক্ষ্যে তারা মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বেনামে আবেদন করে আমাকে হয়রানী করছে। এ বিষয়ে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিক বৈঠক বসেছিল। তারা আইন ও সামাজিক বৈঠক পাত্তা না দিয়ে কিছু লোকের পেশি শক্তি ব্যবহরার করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি জানান। এদিকে গদিনিশীনি ও রিয়াদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সাথে কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। Related posts:বকশীগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে সংবাদ সম্মেলনফেনীতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০ময়মনসিংহের ফুলপুরে জাতীয় শোক দিবস পালন Post Views: ২২৫ SHARES সারা বাংলা বিষয়: