শেরপুরে বিচার বিভাগের ত্রৈ-মাসিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

শেরপুরে জেলা বিচার বিভাগের ত্রৈ-মাসিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুনের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওইসময় তিনি বলেন, বিচার বিভাগ বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই ক্রিমিনাল রুলস এ্যান্ড অর্ডার এর বিধিমোতাবেক বিচার বিভাগের ত্রৈ-মাসিক এ সম্মেলন হচ্ছে।

এ সম্মেলনে মামলা নিস্পত্তিতে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার অধিকতর নিশ্চিতের কাজ করা হচ্ছে। তিনি জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং দেওয়ানী, ফৌজদারী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে মামলা দায়েরের চেয়ে নিস্পত্তির হার ২০ ভাগ বেশি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসাথে সক্ষমতা রয়েছে সেহেতু আত্মতৃপ্তিতে না ভুগে নিস্পত্তির হার আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুস সবুর মিনা, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক লুৎফুল কবীর নয়ন, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম জেলা জজ ইসমেত জিহান ও একেএম জাহাঙ্গীর আলম, দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, জিপি এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানী, লিগ্যাল এইড অফিসার গোলাম মাহবুব খান, জেল সুপার আবুল কালাম আজাদ, গণমাধ্যম প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ।
সম্মেলনে জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির আদালতসমূহের মামলা নিস্পত্তি সংক্রান্ত ২০২২ এর দ্বিতীয় ত্রৈ-মাসিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৩ মাসে জেলা জজশীপের আওতায় দেওয়ানী ৭৩৩টি মামলা দায়ের হয় ও নিস্পত্তি হয় ৮০৫টি মামলা। একইসময়ে ৬৫৮টি ফৌজদারী মামলা দায়েরের পাশাপাশি নিস্পত্তি হয় ৪৮১টি। আর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আওতায় মোট ৭৭৩টি মামলা দায়ের হলেও নিস্পত্তি হয়েছে ১৩২০টি। এতে মামলা দায়েরের চেয়ে নিস্পত্তির হার ২০.৪২ ভাগ বেশি।
আর একই সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আওতায় ৩৪০টি মামলা দায়ের হলেও নিস্পত্তি হয় ৪০৭টি। এতে দায়েরের চেয়ে নিস্পত্তির হার ১৯.৭০ ভাগ বেশি।