শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২২ শেরপুরে ওসমান গণি (৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে শহরের চকপাঠক বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, ওসমান গণিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে তার বাবা, সৎমা ও বোন জামাই। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তকারীরা। নিহত ওসমান গণি ওই এলাকার মেহেদী হাসান প্রিন্সের ছেলে। সে শহরের নাগপাড়া এলাকার মারকাজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। ঘটনার পর সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান প্রিন্স ও মারিয়া ইয়াসমিনের বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে আসে ছেলে ওসমান গণি। তার কিছুদিন পর পারিবারিক কলহের কারণে মারিয়া ইয়াসমিনকে ডির্ভোস দেয় প্রিন্স। এ নিয়ে মামলা হলে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর প্রিন্স রায় পায়। পরে এফিডেভিট করে তার ছেলে ওসমান গণিকে প্রিন্সের কাছে লালন-পালনের দায়িত্ব দেয় মারিয়া ইয়াসমিন। এরপর গেল তিন বছর আগে প্রিন্স দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর সৎ মাসহ পরিবারের সবাই ওসমান গণিকে লালন-পালন করে। এদিকে মারিয়া ইয়াসমিনেরও অন্যত্র বিয়ে হয়। প্রিন্সের দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিন পর হঠাৎ তার ছেলে ওসমান গণি টেলিভিশনে আসক্ত হয়ে পড়ে। পরে বাবা শহরের নাগপাড়ায় অবস্থিত মারকাজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করান ওসমান গণিকে। গত সপ্তাহে প্রিন্সের বাবা স্ট্রোক করে মারা গেলে, মাদ্রাসা থেকে ওসমান গণিকে বাড়িতে নিয়ে আসে বাবা। ওসমান গণি ঘরের দরজা বন্ধ করে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকতে থাকে। এসময় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে সে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা মারিয়া ইয়াসমিন বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই। নিহতের মামা উজ্জল মিয়া ও রেজাউল করিম বলেন, আমাদের ভাগ্নেকে কৌশলে হত্যা করে তার বাবা, সৎমা ও তাদের বোন জামাই। হত্যার পর তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। তারা বলেন, ওসমান গণি সবসময় আদরে থাকত। দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। এখন আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্যই এসব বলা হচ্ছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। Related posts:নকলায় বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে র্যালি আলোচনা সভাঝিনাইগাতীতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুশেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠিত Post Views: ২০৯ SHARES শেরপুর বিষয়: