সমুদ্রবন্দর ও অবকাঠামোতে সহযোগিতার আশ্বাস আমিরাতের অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২৩ বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নতুন রাষ্ট্রদূত আলী আব্দুল্লাহ খাসেফ আল হামুদি। বুধবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত এ আশ্বাস দেন। পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃতি করে জানান, পারস্পরিক স্বার্থে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এরই মধ্যে একটি জি টু জি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তারা বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল এবং নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের একটি জেটিও পরিচালনা করতে চায়। ইহসানুল করিম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতও আশ্বস্ত করেছেন যে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সফরের মধ্যদিয়ে দুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানও ঢাকা সফর করেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অত্যত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কারণ তারা আগামী নভেম্বরে দুবাইতে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে কথা বলার সময় শেখ হাসিনা আরব আমিরাত ও অন্যান্য আরব দেশে চাকরির জন্য যেতে ইচ্ছুকদের প্রতি আরবি ভাষা শেখার ওপর জোর দেন। ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বকে তার শুভেচ্ছাও জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্যসচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। Related posts:‘মা-বোনদের’ কাছে ক্ষমা চাইলেন ডা. মুরাদ'সঠিক ইতিহাসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ''দুর্নীতি বন্ধ হলে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে পৌঁছবে' Post Views: ৭৭ SHARES জাতীয় বিষয়: