শেরপুরে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত

প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৯

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে উকিল মিয়া (৩০) ও খোকন মিয়া (২৫) নামে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। রবিবার ১৭ নভেম্বর গভীর রাতে ভারতের সীমানায় ১০৯১ পিলার সংলগ্ন মারিং পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। নিহত উকিল মিয়া পার্শ্ব¦বর্তী মেঘাদল গ্রামের বঙ্গ সুরুজ আলীর ছেলে ও খোকন মিয়া মাটিফাটা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। পরে সোমবার বিকেলে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে ওই ঘটনায় দু’দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভারত সীমান্তের রিংসিংপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবত শ্রীবরদী উপজেলার কুমারগাতি ও পানবাড়ির ১০৯১ ও ১০৯২ পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে গরু চোরাচালান হচ্ছে। রবিবার রাতে একদল গরু চোরাকারবারি ভারতের মারিংপাড়া এলাকা দিয়ে চোরাই পথে গরু নিয়ে আসার সময় বিএসএফ তাদেরকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়লে উকিল মিয়া ও খোকন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। পরে আহত অবস্থায় উকিল মিয়ার সহযোগিরা তাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পানবাড়ি এলাকায় নিয়ে এলে সে মারা যায়। ওইসময় তার সহযোগিরা তাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অপর দিকে খোকন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারিংপাড়া ব্রিজের নিচে পড়ে সেখানেই মারা যায়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বিজিবি। ওইসময় উকিল মিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। পরে দুপুরে খোকন মিয়ার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবি ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। বিএসএফের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশসহ এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর আশ্বাস দেয়। বিজিবির ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক শহিদুর রহমান ও ২৬ বিএসএফের অধিনায়ক বিশাল রানে নেতৃত্ব দেন।
কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে এক পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার জানান, নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।