শেরপুর সরকারি কলেজের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী পেলেন মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ

প্রকাশিত: ১১:০০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২৫

চলতি বছর দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজসহ উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। জেলায় ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কলেজটির ২ শতাধিক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় পর্যায়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। আর এমন সাফল্য পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট এবং বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ২৩ শিক্ষার্থী, বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য গুণগত মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও মোট ২০৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এই অর্জন শিক্ষকদের নিবেদিত প্রচেষ্টা, নিয়মিত ক্লাশ-পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ের ফল বলে জানিয়েছেন কলেজ সংশ্লিষ্টরা।
কলেজের এমন সাফল্যে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি বিরাজ করছে। এ বিষয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, চেষ্টা করলে যেকোনো জায়গা থেকেও ভালো রেজাল্ট সম্ভব; শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরাই তার বড় প্রমাণ।
শেরপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আযাহার আলী বলেন, নিয়মিত ক্লাশ গ্রহণ ও বিশেষ ক্লাশ নেওয়ায় পরীক্ষার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে যায়। ময়মনসিংহ মেডিকেলে সুযোগ পাওয়া বিজয়া বণিক পূজা জানান, শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আমাদের সঠিক সময়ে ক্লাশে উপস্থিত থেকে ক্লাশ নিয়েছেন এবং আমাদের সন্তানের মতো স্নেহ দিয়ে বুঝিয়েছেন। যে কারণে আমাদের রেজাল্ট এতো ভালো হয়েছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ১০৩তম রাইফা মাহবুব ইরফা বলেন, মফস্বলে পড়াশোনা করলে ভালো জায়গায় ভর্তি হওয়া যায় না- এটা ভুল কথা। ভালোমতো ক্লাশ করে শিক্ষকদের কথামতো পড়াশোনা করলে ভালো জায়গায় ভর্তি হওয়া যায়- শেরপুর কলেজের এবারের ভর্তি পরীক্ষাই তার বড় প্রমাণ।
এ বিষয়ে শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুর রউফ বলেন, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে- মেডিকেল কলেজে ২৩ জন এবং দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জনসহ মোট ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তাই কলেজের সব শিক্ষক কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আশা করি আগামীতে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখবে।