আশুরার রোজায় এক বছরের গুনাহ মাফের সুযোগ

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২৫

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) মদিনায় আগমন করে দেখতে পেলেন—ইহুদিরা আশুরার দিনে রোজা পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার? তোমরা এ দিনে রোজা পালন কর কেন?’
তারা বলল, ‘এটি অতি উত্তম দিন। এ দিনে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রুর কবল থেকে নাজাত দান করেছেন। ফলে এ দিনে মুসা (আ.) রোজা পালন করতেন।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের অপেক্ষা মুসার অধিক নিকটবর্তী।’
এরপর তিনি এ দিনে রোজা পালন করেন এবং রোজা পালনের নির্দেশ দেন। (সহিহ্ বুখারি: ২০০৪)। অন্য হাদিসে জাহিলি যুগ থেকে এ রোজা পালনের কথা উল্লেখ আছে।

রোজা রাখার পদ্ধতি:
ইহুদিরা রোজা রাখত শুধু ১০ মহররম। মুসলমানগণও শুধু সেদিন রোজা রাখলে ইহুদিদের সাদৃশ্য হয়ে যায় বিধায় রাসুল (সা.) সাহাবিদের নির্দেশ দিলেন, তার আগে বা পরে একটি রোজা বেশি রাখার।
হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা আশুরার রোজা রাখ এবং ইহুদিদের বিপরীত কর। আশুরার দিনের আগে অথবা পরে একটি রোজা রাখো।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২১৫৪)

আশুরার রোজার ফজিলত
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের রোজা এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হচ্ছে রাতের নামাজ। (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৫)

আশুরার রোজার প্রাপ্তি
হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে আমি আশা পোষণ করি—তিনি আশুরার রোজার মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫২)