গাজায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণ, ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলীয় বেইত হানুনে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলি সেনারা স্থল অভিযান পরিচালনা করার সময় এই বোমা বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর গাজার বেইত হানুন এলাকায় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার কিছু পরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় ইসরায়েলি সেনারা সেখানে স্থল অভিযান পরিচালনা করছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত সেনারা পায়ে হেঁটে অভিযানে অংশ নিচ্ছিলেন, কোনও যানবাহনে ছিলেন না। বিস্ফোরণের পর যখন আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছিল, তখন সেই এলাকাতেও গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
নিহত সেনারা হচ্ছেন— স্টাফ সার্জেন্ট মেইর শিমোন আমার (২০)। তিনি জেরুজালেমের বাসিন্দা এবং কফির ব্রিগেডের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের সদস্য। সার্জেন্ট মোশে নিসিম ফ্রেচ (২০)। তিনিও জেরুজালেমের বাসিন্দা ও একই ব্যাটালিয়নের সদস্য। সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রিজার্ভ) বেনইয়ামিন আসুলিন (২৮)। তিনি হাইফার বাসিন্দা এবং গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেডে নিযুক্ত ছিলেন। স্টাফ সার্জেন্ট নোয়াম আহারন মুসগাডিয়ান (২০)। জেরুজালেমের বাসিন্দা নোয়াম কফির ব্রিগেডের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের সদস্য। এবং স্টাফ সার্জেন্ট মোশে শমুয়েল নোল (২১)। তিনিও বেইত শেমেশের বাসিন্দা ও একই ব্যাটালিয়নের সদস্য।
ভয়াবহ এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। তাদের মধ্যে অন্তত দুই জনের অবস্থা গুরুতর।
বেইত হানুন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সদস্যরা অবস্থান করছে বলে মনে করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। সেই কারণেই সেনাবাহিনীর গাজা ডিভিশনের নর্দার্ন ব্রিগেড ও ৬৪৬তম রিজার্ভ প্যারাট্রুপার ব্রিগেড যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছিল।
অভিযানের আগেই ওই এলাকা বিমান হামলার মাধ্যমে টার্গেট করা হয়েছিল বলেও জানায় আইডিএফ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজার উত্তরাঞ্চলে আইডিএফের সঙ্গে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষ বেড়েছে এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলার ঘটনাও আগের চেয়ে বেড়েছে।