রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার: অধ্যাপক আলী রীয়াজ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৫ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম দিনের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আজকের সংলাপে আলোচনার মূল বিষয়— প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিধান। এসব বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য একাধিক দল তাদের প্রস্তাব ও মতামত উপস্থাপন করেন। আলী রীয়াজ বলেন, গত কিছুদিনের আলোচনায় আমাদের বেশ কিছু অগ্রগতি হচ্ছে, সেটা লক্ষণীয়। আলোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসছি। অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেটা দরকার সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, আমাদের সবার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য এক। সেগুলো অর্জন করার চেষ্টা করাটাই হচ্ছে আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা একটা জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতায় এককেন্দ্রীকরণ না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই এ দেশে আবার কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। ইন্টেনশন এবং উদ্দেশ্যের দিক থেকে কোন ভিন্নতা নেই। কমিশনের কোনো আলাদা উদ্দেশ্য নেই। কমিশনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবাইকে নিয়ে যতদূর সম্ভব ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। আমরা বারবার বলেছি যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই জুলাই মাসের মধ্যেই যেন এই কাজ সম্পন্ন করা। অনেক বিষয়ে অনেক নিষ্পত্তি হয়নি। তবে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ায় বিষয়গুলোতে আগামী সপ্তাহে মীমাংসার জায়গায় যেতে পারব। সেটাই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যে, এর বাইরে আসলে আমাদের কারও কোনো উদ্দেশ্য নেই। বিশেষ করে কমিশনের উদ্দেশ্য থাকার কোনো কারণ নেই। আলী রীয়াজ বলেন, কারণ কমিশন দায়িত্ব নিয়েছে আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অংশ হিসেবে। আমরা আলাদা কেউ না। আমরা সবাই মিলে এক। ফলে এই জায়গা থেকে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। সে জায়গায় আপনাদের কাছ থেকে যে সহযোগিতাটা আমরা পাচ্ছি সেই সহযোগিতাটা অব্যাহত থাকলে আমরা দ্রুত একটা মীমাংসার জায়গায় যেতে পারব। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত আছেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং আইয়ুব মিয়া। Related posts:বিডিআর বিদ্রোহের পুনঃতদন্ত শিগগিরই শুরু হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাস্বাধীনতাকে সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করতে পুলিশের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানবাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা Post Views: ১২ SHARES জাতীয় বিষয়: