মাদারগঞ্জে বাঁধ ধসে ১০ গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি ইউনিয়নের নাদাগাড়ী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে নতুন করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উপজেলা সদরের সাথে ওই ১০ টি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ। তৃতীয় দফার বন্যায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) ভোরে ওই বাঁধের ১০০ ফুট অংশ ধসে যায়। দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে যাওয়ায় প্রবল পানির তোড়ে ভেসে গেছে বাঁধের আশেপাশে থাকা অন্ততঃ ৫০ টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর। বাঁধের এ ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে পানির প্রবেশ করায় অপেক্ষাকৃত উঁচু ও ডাঙা এলাকা প্লাবিত হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে গেলে ভোরে বন্যা নিয়ন্তণ বাঁধের ১০০ ফুট অংশ ভেঙে যায়। এতে নতুন করে নাদাগাড়ী, সুখনগরী, দ্বীপচর, খিলকাটি, বেড়া, গোলাবাড়ি, চর গোলাবাড়ি, পলিশা, তারতাপাড়া, ফুলজোড়সহ ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া প্রবল পানির স্রোতে বাঁধের আশেপাশের এলাকার ৫০টি কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপরদিকে জামালপুরে ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার ও জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় ১৯ সেন্টিমিটার এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সেন্টিামটার বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ ও পানি মাপক গেজপাঠক আঃ মান্নান রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামালপুরে তৃতীয় দফা বন্যায় ২৭দিন যাবত পানিবন্দি জীবন যাপন করছে। ফলে গবাদি পশুসহ দুর্ভোগে রয়েছে জেলার সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদর উপজেলার তুলশীরচর, লক্ষ্মীরচর, মেষ্টা ও কেন্দুয়া ইউনিয়নের বন্যা দুর্গতরা।জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: নায়েব আলী জানান, বন্যায় জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।জেলায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ৫১০ মেট্রিক টন চাল, ২৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য বাবদ চার লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।