গ্রাহককে অধিকতর ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করছে ইমো অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০২১ প্রযুক্তি ডেস্ক : ইমোর অডিও ও ভিডিও সেবার মাধ্যমে বিশ্বের ২০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম হলো ইমো। এ প্ল্যাটফর্মের লক্ষ্য পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করা। ইমোর সুবিধাজনক অডিও ও ভিডিও সেবার মাধ্যমে বিশ্বের ২০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। সাইবার ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষায় অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি মেকানিজম রয়েছে ইমোতে। এই মেকানিজম করাই হয়েছে ইমোতে গ্রাহকের সামগ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে। প্রশ্ন হচ্ছে সিকিউরিটি মেকানিজম কীভাবে আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করবে? আপনি সেটা বুঝবেন কীভাবে? ব্যবহারকারীরা ইমো থেকে যতবার ভেরিফিকেশন কোড পাবেন, এই নতুন অ্যান্টি-ফ্রড সিস্টেম ততবার গ্রাহককে সিকিউরিটি রিমাইন্ডার দেবে। এই সিকিউরিটি রিমাইন্ডার দেখেই বুঝতে পারবেন আপনার তথ্য সুরক্ষায় অ্যান্টি-ফ্রড সিকিউরিটি মেকানিজম কাজ করছে। এই রিমাইন্ডারের মূল উদ্দেশ্য—ব্যবহারকারীদের কোড অন্যদের সঙ্গে শেয়ার হওয়া প্রতিরোধ করা। এই অ্যান্টি-ফ্রড সুরক্ষা ব্যবস্থা মিউচুয়াল ফ্রেন্ড নয়—এমন অপরিচিত কারও পাঠানো ইউআরএল প্রিভিউ ও লিংক অকার্যকর করে দেবে। কন্টাক্ট লিস্টে নেই—এমন ওয়ান-ওয়ে ফ্রেন্ডদের ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সাবধান করতে চ্যাট পেজে সিকিউরিটি রিমাইন্ডার প্রদর্শিত হবে, যাতে ব্যবহারকারী সাবধান হতে পারেন এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করেন। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের আইডি হ্যাক করা থেকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন ডিভাইসে লগ ইন করার চেষ্টা করলে ইমো ব্যবহারকারীকে সিকিউরিটি রিমাইন্ডার পাঠাবে এবং কারও সঙ্গে ভেরিফিকেশন কোড শেয়ার না করতে অবহিত করবে। ইমো থেকে দেওয়া সিকিউরিটি নোটিশে লগ ইনের চেষ্টা করার বিষয়ে নতুন ডিভাইসের তথ্যসহ বিস্তারিত দেওয়া থাকবে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ‘ম্যানেজ ডিভাইসেস’ অপশনে গিয়ে কোনো ডিভাইস সন্দেহজনক মনে হলে সেই ডিভাইসটি ডিলিট করে দিতে পারবেন। যেকোনো আপত্তিজনক কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলতে এবং যেকোনো রিপোর্টেড কন্টেন্ট গড়ে ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে যেন প্রসেস করা হয়, তা নিশ্চিতে ইমোর কন্টেন্ট মডারেশন টিম সব সময় কাজ করছে। নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে ইমোর বক্তব্য হচ্ছে, ‘কনটেন্ট কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা ইমোর অন্যতম অগ্রাধিকারের বিষয়। আপত্তিজনক কনটেন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইমো স্থানীয় আইন মেনে এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কঠোর কমিউনিটি নীতিমালা ও নির্দেশনা তৈরি করেছে।’ তারা জানায়, ‘চলতি বছর ৫ কোটি ১ লাখ আপত্তিজনক পোস্ট ও ৮ লাখ অ্যাকাউন্ট সরিয়ে ফেলেছে ইমো। এর মধ্যে সাড়ে ৩ কোটি পাবলিক কনটেন্ট ব্যবহারকারীরা দেখার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’ ইমোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘অশোভন বা অনুপযুক্ত যেকোনো কনটেন্ট শনাক্ত ও মডারেট করতে ইমো এআই-সমর্থিত সার্বক্ষণিক মাল্টি-স্টেপ কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া তৈরি করেছে। এই ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবলিক কনটেন্ট শনাক্ত করতে পারে।’ উল্লেখ্য, ইমোর ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচারটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে ইমো ফোন নম্বর ভেরিফিকেশন পদ্ধতিও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ইমোতে অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানিমূলক রিপোর্টের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। Related posts:ফেসবুকে আর নয় ছবি নিয়ে অস্বস্তি, ডিলিট করতে এল নতুন ফিচারকোমলপানীয়র সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণআসছে আইফোন ১১ Post Views: ৩৪২ SHARES তথ্য প্রযুক্তি বিষয়: