নালিতাবাড়ীতে শেষ হলো দু’দিনব্যাপি ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০১৯ নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে স্থাপিত ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের দু’দিনব্যাপি ২২তম তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে। ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে মহা খ্রিস্টযাগের প্রার্থানার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে ওই তীর্থোৎসব সমাপ্তি ঘোষণা করেন ময়মনসিংহ খ্রিস্ট ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। ওইসময় সমাপনী বক্তব্য রাখেন তীর্থোৎসবের প্রধান বক্তা নাটোরের রেভারেন্ট ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও। এবারের মূলসুর ছিল ‘বিশ্বাসের যাত্রায় মিলন সমাজ গঠনে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া।’ তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মা মারিয়ার হাজার হাজার ভক্তরা দেশ ও বিদেশ থেকে এ তীর্থোৎসবে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পাপ স্বীকার ও পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে তীর্থোৎসবের শুভ সূচনা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খ্রিস্টযাগ ও পাপ স্বীকার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ খ্রীস্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টায় মোমবাতি প্রজ্বলন করে বের করা হয় আলোক শোভাযাত্রা। এতে হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তদের অংশ গ্রহণে ধর্মপল্লীর বাহির থেকে শুরু করে সারিবদ্ধ ভাবে মোমবাতি প্রজ্বলন করে ভক্তরা দাঁড়ান। পরে মোমবাতি প্রজ্বলন করে পাপ মোচন ও আশা আকাঙ্খা নিয়ে ভক্তরা ২ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করেন। পরে ৪২ ফুট উচু ফাতেমা রাণীর মূর্তির স্থলে সবাই একত্রিত হন। সেখানে রাত ১১টায় আরাধনা, নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠান মধ্য দিয়ে প্রথম দিনে কার্যক্রমের সমাপ্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। নাটিকার মাধ্যমে যীশুকে যেভাবে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিলো তা দেখানো হয়। ওইসময় ভক্তরা কান্নায় ভেঙে পরেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মহা খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে দিয়ে বেলা ১২টায় দু’দিনব্যাপি তীর্থোৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। তীর্থযাত্রী ক্লডিয়া নকরেক কেয়া জানান, এখানে সবাই অসাম্প্রদিক চেতনায় নিজেকে আত্মশুদ্ধি করতে এবং পাপ স্বীকার করে তা মোচনের আশায় সবাই আসেন। মা মারিয়ার কৃপালাভের আশায় সবাই দু’দিন এখানে অবস্থান করেছি। খ্রিস্টভক্ত আখি হাগিদক জানান, আমরা প্রতিবছর পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে তীর্থোৎসবে আসি। এখানে নিজেদর পাপ স্বাীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এছাড়া নিজের দেশের জন্যও আমরা প্রার্থনা করেছি। বারমারী ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৩০ হাজার ভক্তরা তীর্থোৎসবে বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে সমবেত হয়েছিলেন। সবার আন্তরিক সহযোগিতার মধ্যদিয়ে দেশ ও জাতির কলান কামনা করে দু’দিনব্যাপী তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা ৩ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করেছি। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ২২তম তীর্থোৎসব সমাপ্ত হয়েছে। Related posts:উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে শেরপুরে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ প্রার্থির মনোনয়নপত্র দা...কাল চাঁদ দেখা গেলে বুধবার রোজামাদারগঞ্জে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় যুবক গ্রেফতার Post Views: ৩১৫ SHARES ধর্ম বিষয়: