হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশিত: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ধানমণ্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিন জনকে আটক করে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ওই তিন জনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনজনিত কারণে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এতদ্বসত্ত্বেও, আপনি সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিন জনের মুচলেকা প্রদান করে থানা থেকে তাদেরকে জামিন করিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনার ব্যাখ্যা এবং আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ আগামী তিন দিনের মধ্য শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের নিকট উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এদিকে মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হান্নান মাসউদ লেখেন, মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআ’র আহ্বায়কসহ তিনজনকে মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে আটক করা হয়। এ ঘটনার পর বৈবিছাআ’র পরিচয়ে কিছু শিক্ষার্থী ধানমণ্ডি থানায় গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল।
তিনি লেখেন, এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি। যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেননি এবং করতেও চাচ্ছিল না।
তিনি আরও লেখেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিলেন, যেটি পরবর্তীতে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত আটক করা হবে। ডিএমপিকে তাদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে বলেও জানান হান্নান মাসউদ।
এর আগে গত সোমবার (১৯ মে) রাতে ধানমণ্ডিতে এক পাবলিসার্সকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বলে অভিযুক্ত করে তার বাসার সামনে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে (২০ মে) জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদের জিম্মায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।