চট্টগ্রামে করোনায় নারীর মৃত্যু অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৫ চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফজিলাতুন্নেছা নামে এক নারী মারা গেছেন। শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনার নতুন সংক্রমণ শুরু পর এ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে দুজনের মৃত্যু হলো। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরের এপিক হেলথ কেয়ারে দুজন, শেভরনে তিনজন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে, মৃত্যু হয়েছে দুজনের। চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন দুয়েকজন করে শনাক্ত হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সরকারিভাবে পরীক্ষা শুরু করা না গেলে আসল চিত্র বের হয়ে আসবে না। তাই অতিদ্রুত সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা চালু করা আবশ্যক। এ দিকে বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের পর চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতাল ও সিটি করপোরেশনের মেমন-২ হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল বলে ঘোষণা দেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে দুই হাসপাতালের একটিও করোনা চিকিৎসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা আছে ১৮টি। এর মধ্যে কেবল একটি আইসিইউ শয্যার ভেন্টিলেটর সচল রয়েছে। বর্তমানে আটটি শয্যায় রোগী ভর্তি করা। যেটি ভেন্টিলেটর সচল রয়েছে সেটিও মাঝেমধ্যে বিকল হয়ে পড়ে। অন্যগুলোর সঙ্গে কেবল অক্সিজেন সংযোগ থাকলেও জীবন রক্ষাকারী পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। এ হাসপাতালে জনবল সংকট চরমে। বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের সংখ্যা থাকার কথা ১৭৭ জন (২০২৪ সালের কাঠামো অনুযায়ী)। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৪২ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ ২০টি। এ ২০ চিকিৎসকের মধ্যে সাতজন সহকারী রেজিস্ট্রার, ছয়জন জরুরি বিভাগে, পাঁচজন বহির্বিভাগে এবং একজন করে প্যাথলজি, ইউনানি, ডেন্টাল ও কারা বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০২০ সালে করোনা ইউনিটের জন্য যে ২২ জন চিকিৎসক সংযুক্তি পেয়েছিলেন, তাদের সবাইকে চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে বদলি করা হয়। এরপর আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অপর ডেডিকেটেড হাসপাতালেরও একই অবস্থা। মেনন-২ হাসপাতালে কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। এখানে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বয়স্ক, গর্ভবতী মহিলাদের টিকা পাওয়া সাপেক্ষে করোনার টিকা দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবশেষ মারা যাওয়া নারী বাকলিয়ার বাসিন্দা। কোভিড-১৯ পজিটিভ আসার পর গত মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি কিটের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। Related posts:দেওয়ানগঞ্জে মক্তবে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে ঈমাম গ্রেফতারভাঙ্গায় বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনেরগোপালগঞ্জে বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫ Post Views: ২৫ SHARES সারা বাংলা বিষয়: