করোনা সংক্রমণরোধে শেরপুরে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শেরপুরে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনা মোতায়েন হয়েছে। ২৫ মার্চ বুধবার থেকে জেলা ও উপজেলা সদরসহ সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী টহল তৎপরতা চালাবে। অন্যদিকে জেলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ২৪ মার্চ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের সভাপতিত্বে তার অফিসকক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধসংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম, শেরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের মেজর তৌফিকুল বারী, সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি শহরে সেনাবাহিনী নামার খবরে প্রভাব পড়েছে খাদ্য সামগ্রীর বাজারসহ মানুষের অবাধ চলাফেরায়। এছাড়া জেলা কালেক্টরেট ভবন কম্পাউন্ডে দিনব্যাপী ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। আর স্থানীয় বাজারগুলোতে চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন, চিনি ও গরম মসলা এবং মাস্ক-সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী অনেকটাই সহনীয় দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
করোনা পরিস্থিতি ও সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে শেরপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের ১৯ পদাতিক ডিভিশনের মেজর তৌফিকুল বারী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত অবস্থায় আতঙ্ক মঙ্গলবার সকালে তার নেতৃত্বে ১ ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্য শেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় হয়েছে। বুধবার থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে কাজ করবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলায় সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সেনাবাহিনী রিপোর্ট করেছে। বুধবার থেকে তারা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে মাঠে কাজ করবে। এজন্য ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন ও সেনাবাহিনীর ১ জন মেজরের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ সভা হয়েছে। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে সাহসিকতা ও সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, জেলায় এখন পর্যন্ত ৯৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। ওই পিরিয়ড শেষ হয়েছে ২৯ জনের। তবে জেলায় এখনও কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ উপজেলায় ১৫০ জনকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থাসহ জরুরি আইসোলেশনের জন্য আরও পিটিআইয়ে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত ১ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শেরপুর জেলায় ফিরেছে ৯ শতাধিক নাগরিক।