জামালপুরে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২১

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন। সরকার সারাদেশে ১ জুলাই লকডাউনের ঘোণণার সাথে সাথে জামালপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও প্রতিটি উপজেলার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন। মানুষকে সচেতন করার জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। মাস্ক ছাড়া ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হলে তাকে জরিমানা করছে প্রশাসন। যার কারণে শহর ফাঁকা হয়ে পড়েলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গ্রাম-অঞ্চলে। এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধির ফলে সরকার আরো ৭ দিনের লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। ১৪ জুলাই পর্যন্ত এ লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।
লকডাউনের শুরু থেকে জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছেন জামালপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার। তিনি জামালপুর সদরে নরুন্দি, গোপালপুর, নরুন্দি, বাঁশচড়া, ঘোড়াধাপ, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতনসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন প্রতিনিয়ত। সকাল থেকে ছুটছেন রাত পর্যন্ত। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি সবাইকে লকডাউন মানার জন্য সতর্কতা থাকার আহ্বান জানান।
জামালপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার বলেন, সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত জামালপুর সদরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব-কর্তব্য। সাধারণ মানুষ করোনাভাইরাস থেকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরো জানান, সতর্ক করার পরও কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা পালন না করায় দন্ডবিধির ২৬৯ ধারায় জরিমানাও করা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জামালপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিটুস লরেন্স চিরান বলেন, “লকডাউনে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। জরুরি প্রয়োজনে বাহিরে বের হলেও অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেউ সরকারের এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।”