কিশোরগঞ্জে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২৫

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সোলেমান মিয়া (২৭), রাব্বী মিয়া (১৭), সাকিব মিয়া (২৬), ইমন মিয়া (২৪), মোছা মিয়া (৩০), রাতুল (২২), শ্রাবন (১৯), সোলমন (৪৮), অলি উল্লাহ (১৬), ইয়ছিন (১৯), সামি (১৪), সোহাগ (২০), আল আমিন (১৮), ইয়াছিন (১৫), সাজ্জাদ (২০), সিয়াম (১২), রায়হান (১৮), বাদশা (১৮), প্রিয়াঙ্কা (২০), জন মিয়া (১৯), সাংবাদিক মিজান পাটোয়ারিসহ (৪৫) অজ্ঞাত আরও অনেকে।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মধ্যে মীর বাড়ির একটি মসজিদ রয়েছে। মীর বাড়ির সভাপতি ছিলেন মোল্লা বাড়ির মিজান মোল্লা। সোমবার (৭ এপ্রিল) পাঁচ বছর পর কমিটি গঠন করতে বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। এ সময় কমিটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে রাতেই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হলে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
তারা আরও জানান, পরে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিষয়টি মীমাংসা করতে স্থানীয় নেতারা সময় নেন। দিনভর এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করে। পরে রাতে হঠাৎ মীর বাড়ি ও কাজি বাড়ির মানুষ ইট-পাটকেল, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হন। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ, র‍্যাব ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভৈরব কুলিয়ারচর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, খবর পেয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রোহানীসহ ভৈরব থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।