ঝিনাইগাতী থেকে হারুন অর রশিদ দুদু ॥ ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা ২০১৬ সালে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। গত চার বছরে নলকুড়া ইউনিয়নের মানুষকে সেবা প্রদান ও এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে ইউনিয়নবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে পেরেছেন এ ইউপি চেয়ারম্যান। তার ধারাবাহিতকায় এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এবং জনগণের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত ও এলাকার উন্নয়ন করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আইয়ুব আলী ফর্সা। এলাকার উন্নয়ন ও সাধারণ জনগণকে দেয়া নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করে যাচ্ছে মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বর্তমানে নলকুড়া ইউনিয়নের সামগ্রিক দৃশ্যপট পাল্টে গেছে গত চার বছরে। প্রাচীনতম এই জনপদের বিভিন্ন গ্রাম-মহল্লায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা হয়েছে পাকা। বর্ষাকালে যে সকল রাস্তায় চলাচল করা অনেকটা অসম্ভব ছিলো সেগুলোতে পড়েছে ইট আর বালু। সরকারের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় মাটি ভরাট, রাস্তার দুই পাশে মাটি দেওয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে ইউনিয়নবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কাজ সমহারে বন্টন করে ইউপি সদস্যদের সমন্বয়ে তিনি কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। অল্প সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন করে তিনি সকলের নজর কেড়ে স্থান করে নিয়েছেন প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে। নলকুড়া ইউনিয়নের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এলাকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন তিনি। তিনি নিজে জমি দান করে ওই ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে আলহাজ্ব এসএমএ ওয়ারেজ নাইম কলেজ। গত চার বছরে নলকুড়া ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের যাতয়াতে ব্যাপক সুবিধাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মসজিদ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সড়কে বৈদ্যুতিক সোলার স্থাপন করে সকলের মন জুগিয়েছে এ ইউপি চেয়ারম্যান। তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে পাল্টে গেছে ইউনিয়নের উন্নয়নের চিত্র। গত চার বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে কাবিখা, কাবিটা, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, টিআর, বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্প ও লোকাল গর্ভামেন্ট সার্পোট প্রজেক্ট (এলজি এসপি-৩) প্রকল্প দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অসহায়, দরিদ্ররা বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন। এর মধ্যে ভিজিডি কার্ড, বিজিএফ কাড, হত দরিদ্র কার্ড, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল তথ্য সেন্টার থেকে সব ধরনের ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছে এলাকার সাধারণ জনগণ। প্রত্যেক অর্থবছরে যে উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা করা হয় তার প্রায় ৯০ ভাগই পূরণ হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা বলেন, আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাই জনগনের সেবা করাই হচ্ছে আমার কাজ। আমি জনগনের সেবা করে তৃপ্তি পাই। কোন জনগণ জাতে আমার কাছে সেবা নিতে এসে কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রেখেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। যাতদিন দায়িত্বে থাকবো, ততদিন নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের সেবা করে যাবো। নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদকে আমি আধুনিক একটি পরিষদে পরিণত করতে চাই। মাদক মুক্ত নলকুড়া ইউনিয়ন উপহার দিতে চাই। ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, শুধু আমার ইউনিয়ন নয় দেশে সবগুলো ইউনিয়নেই ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা কেবল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনেকটাই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে আইয়ুব আলী ফর্সা। নলকুড়া ইউনিয়নকে একটি আলোকিত ও মডেল ইউনিয় হিসেবে গড়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ইতিমধ্যেই তিনি বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেণ। তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে জনগণের সেবা করবার সুযোগ দেবার জন্য নলকুড়া ইউনিয়ন বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা। এছাড়াও তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ইতিমধ্যেই তিনি তার ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ ও পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করেছেন।