লোকসানের পথে ঝিনাইগাতীর দুই মৎস্য খামারি

প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২০

হারুন অর রশিদ দুদু ॥ টানা করোনার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা স্থবির হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দুইটি মৎস্য খামার। উৎপাদিত মাছ বিক্রি করতে না পেরে তাঁরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনন্যোপায় হয়ে স্থানীয় বাজারে কম দামে মাছ বিক্রি করায় লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, খামারগুলোতে প্রতিবছর মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত উৎপাদিত মাছ বিক্রি চলে। ঝিনাইগাতীর ওই খামার দুইটির মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়। গত ১৫ দিনে করোনার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ায় খামারিরা তাঁদের মাছ বিক্রি করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে অনেক খামারি স্থানীয় বাজারে কম দামে মাছ বিক্রি করছেন। খামারে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বর্তমানে ঝিনাইগাতীর বাজারে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে পারলে এ মাছ দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যেত। ঝিনাইগাতী উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের এলিট এগ্রোফিসারিজ খামারির মালিক খোন্দকার আতিকুর রহমান ও আবু সালেহ জানান, এখনই খামারের মাছ বিক্রি করার সময়। পরিবহন চলাচল নির্বিঘ্ন না হওয়ায় আমরা মাছ বিক্রি করতে পারছি না। বিপুল পরিমাণ মাছ স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে। ওই দুই মৎস্য খামারে নিয়োজিত ঘরে বসে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে কাজী খোন্দকার আতিকুর রহমান ব্যক্তিগত ভাবে চাল, ডাল, আলু ও সাবান বিতরণ করেছেন।