টাইগার মুরগি লালন-পালন করে বাজিমাত নকলার রনির অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৫ আব্দুল্লাহ আল-আমিন, নকলা (শেরপুর) : শেরপুরের নকলা পৌরসভাধীন পশ্চিম লাভা গ্রামের হারেজ আলীর ছেলে শামীম। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে সরকারি চাকরীর পেছনে না ছুটে মাত্র ১০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে গাজীপুর থেকে ১৫০ পিস টাইগার মুরগির বাচ্চা কিনে লালন-পালন শুরু করেন। বছর খানে পরেই শামীন ঘুরে দাঁড়ান এবং গড়ে তুলেন ‘বন্ধন এগ্রো’ নামে খামার। নিজের খামার থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৬০০-৭০০ ও মাসে প্রায় ৩ হাজার ডিম উৎপাদনের পর তা থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করেন। টাইগার জাতের মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তা অন্য খামারিদের কাছে বিক্রি করে এখন তিনি মাসে আয় করছেন লাখ টাকা। তার কাছ থেকে বাচ্চা ও পরামর্শ নিয়ে অনেকেই শুরু করেছেন মুরগি লালন-পালনের কাজ। বর্তমানে একটি খামার থেকে শামীম ৩টি খামারের মালিক। শামীম বলেন, প্রথমে মাংসের জন্য মুরগি পালন শুরু করি। ওই মুরগি বিক্রি করে লাভবান হই। এরপর টাইগার মুরগি পালন করে ডিম উৎপাদন শুরু করি। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য আমি নিজেই তৈরি করি ইনকিউব্যাটর। মোট ২১ দিনের মধ্যেই ডিম থেকে পরিপূর্ণ বাচ্চা হয়। একটি মুরগি থেকে প্রায় দুই বছরের মতো ডিম পাওয়া যায়। মুরগি ডিম দেওয়া বন্ধ করে দিলে তখন সেটিকে আমি মাংসের চাহিদা মেটাতে বাজারে বিক্রি করে দেই। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির পাশে খোলামেলা যায়গায় উঁচু করে শেড তৈরি করে টাইগার জাতের মুরগি পালন করছেন শামীম। খামারের একপাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে পানির পাত্র ও কাঠের তৈরি খাবারপাত্র। অন্যপাশে রয়েছে ডিম পাড়ার জন্য আলাদা খাঁচা। বিদ্যুৎ চলে গেলে রয়েছে জেনারেটরের ব্যবস্থা। শামীমের এই খামারে ছোট থেকে শুরু করে ৭ থেকে ৮কেজি ওজনের মুরগিও রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সবসময় এমন সেবাদানে বদ্ধপরিকর। তা ছাড়া উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি যেনো অন্যদের আগ্রহ হয় সে জন্য আমরা নানামুখী কার্যক্রম চালু রেখেছি। Related posts:শেরপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৩৯ জনপ্রয়াত শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা’র ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিতশেরপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করলেন বিভাগীয় কমিশনার Post Views: ১৭৮ SHARES শেরপুর বিষয়: