শিক্ষার্থী রুকুনুজ্জামান অপহরণ ॥ অতঃপর ঝিনাইগাতীতে উদ্ধার ॥ গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২০

হারুন অর রশিদ দুদু ॥ শেরপুর থেকে রুকুনুজ্জামান নামে অপহৃত এক শিক্ষার্থীকে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ। অপহৃত ওই শিক্ষার্থী শেরপুর জেলা শহরের পৌর এলাকার দিঘারপাড় মহল্লার এরশাদ আলীর পুত্র ও কামারিয়া আলহাজ্ব বাবর আলী বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাব্বির হোসেন (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ। ৮ মে শুক্রবার দুপুরে অপহরণকারীকে শেরপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপহৃত রুকুনুজ্জামান শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ৭ মে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাব্বির হোসেনসহ দুইজনকে আসামী করা হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, অপহৃত রুকুনুজ্জামান সদর উপজেলার কামারিয়া আলহাজ্ব বাবর আলী বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থী রুকুনুজ্জামান ও গ্রেফতারকৃত সাব্বির পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে চলাফেরা করতেন। ৭ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুকুনুজ্জামানকে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় গজনী অবকাশে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যায়। এরপর সাড়ে আটটার দিকে রুকুনুজ্জামানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে তার বাবার ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং বিকাশ নম্বরে পাঠাতে বলে। এক ঘন্টার মধ্যে টাকা না পাঠালে রুকুনুজ্জামানকে খুন করার হুমকি দেয়। তার বাবা টাকা পাঠাতে অস্বীকার করে এবং রুকুনুজ্জামান তার অবস্থান সমন্ধে তার বাবাকে বলতেই সাব্বির তাকে তার পিঠের বাম পাশে চাকু দিয়ে ঘাই মেরে গুরুতর জখম করে। এসময় রুকুনুজ্জামানের ডাক চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় একজন কাঠ ব্যবসায়ী তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মামলার এজাহারের অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, রুকুনুজ্জামানকে উদ্ধার করার বিষয়টি ওই কাঠ ব্যবসায়ী তার বাবাকে জানান। এদিকে সাব্বির পালিয়ে যাওয়ার সময় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের মাটিয়াপাড়া এলাকায় রুকুনুজ্জামানের বাবাকে দেখতে পেয়ে দৌড়াইয়ে পালাতে চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি (তদন্ত) সরোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে।