ঝিনাইগাতীতে গারোদের ‘রংচুগালা’ অনুষ্ঠিত অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০১৯ ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি ॥ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের অন্যতম একটি উৎসব ‘রংচুগালা’। গারোদের বিশ্বাস, তাদের ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ ও সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ প্রয়োজন। তাই প্রাচীনকালে শস্য দেবতা ও সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার জন্য চাল থেকে তৈরি ‘রংচু’ বা চিঁড়া ফসলের মাঠে ছিটিয়ে গারোরা পালন করত রংচুগালা উৎসব। গারোদের সবচেয়ে বড় নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালার’ আগে পালন করা হয় এ উৎসব। গারো অধ্যুষিত এলাকার কোনো কোনো স্থানে কদাচিৎ রংচুগালা আয়োজন করা হলেও কালের বিবর্তনে এ উৎসবটি হারিয়ে যেতে বসেছিল। এবার শেরপুরে ঝিনাইগাতীর গারোপল্লী মরিয়ননগর এলাকায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় রংচুগালা উৎসব। গত শুক্রবার মরিয়ননগর আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ইয়ং ম্যানস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিশেন (ওয়াইএমসিএ) ও বাংলাদেশ গারো ছাত্রসংগঠন (বাগাছাস) ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার আয়োজনে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ উৎসব। অনুষ্ঠানে গারোদের প্রাচীন রেওয়াজ অনুযায়ী নানা আচার-অনুষ্ঠান ছাড়াও ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নৃত্যগীত পরিবেশন করা হয়। রংচুগালা উৎসবের মূল পর্বের প্রার্থনা এবং আচার-অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করেন গারো সম্প্রদায়ের প্রধান নেতা ‘খামাল’ জনসন মৃ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের। বাগাছাস ঝিনাইগাতী শাখার সভাপতি অনিক চিরানের সভাপতিত্বে এবং ওয়াইএসসিএ সভাপতি পবত্রি ম্রংয়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গারো নেতা নেত্রকোনার দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অঞ্জন ম্রং, হেমার্সান চিরান, অসিম ম্রং, সাংবাদিক রফিক মজিদ প্রমুখ। গারো নেতা অঞ্জন ম্রং বলেন, ‘গারো সম্প্রদায় বিভিন্ন স্থানে যুগ যুগ ধরে এ রংচুগালা উৎসব পালন করে আসছে। কৃষিনির্ভর গারো সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তা ও শস্য দেবতাকে খুশি না করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। তাই সৃষ্টিকর্তা ও শস্য দেবতাকে খুশি করার জন্য রংচুগালা উৎসবের আয়োজন করা হয়। গারোদের সংস্কৃতি নানা কারণে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। গারোদের অনেক নিজস্ব আচারাদি আজ বিলুপ্তপ্রায়। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে গারোদের নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরতেই এ আয়োজন।’ দেবতাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং আচারাদি সম্পন্ন শেষে রাতে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি দেশের প্রথম গারো প্রমিলা ব্যান্ডদল ‘এফ-মাইনর’ এবং ‘জুমাং’ ও ‘অগোছাল’ নামের তিনটি ব্যান্ডদল সংগীত পরিবেশন করে। Related posts:ট্রাক পরিচালনা অফিসে হামলা-ভাংচুর-দখলের প্রতিবাদে শেরপুরে সংবাদ সম্মেলনবাজার কারসাজিতে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বকশীগঞ্জের ইউএনওনেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের কম্বল বিতরণ Post Views: ৩৬৬ SHARES বিচিত্র-সংবাদ বিষয়: