ঝিনাইগাতীতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা আটকে গেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী মনিরের

প্রকাশিত: ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০

হারুন অর রশিদ দুদু ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলাতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা আটকে গেছে এসএসসি পরীক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের সন্তান মনিরের। মনির ঝিনাইগাতী উপজেলার ফাকরাবাদ একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। মনির শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের দিনমজুর আঃ করিমের ছেলে। গত ৪/৫ মাস যাবত হার্টের সমস্যার কারণে পায়ের উড়াতের রগ শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে মনির চলাফেরা করতে না পারায় শুধু বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেনা। মনিরের দরিদ্র পিতা আঃ করিম জানায়, পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে ওই লাকড়ি বাজারে বিক্রি করে স্ত্রী ও ৪ জন সন্তানকে কোন রকম খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে গত ৫ মাস যাবত হার্টের সমস্যায় মনির মারাত্মক অসুস্থ হয়ে বিছানায় রয়েছে। মনিরের পিতা আঃ করিম বিষয়টি ৫ জুন শুক্রবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিক দুদু মল্লিককে জানালে সাংবাদিক তৎক্ষনাত ঝিনাইগাতী মাজেদা ক্লিনিকের ডাঃ মফিদুল ইসলামের কাছে নিয়ে যান। ডাঃ মফিদুল ইসলাম রোগীকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা লিখে দেন। প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ সাংবাদিক দুদু মল্লিক নিজ টাকায় ক্রয় করে মনিরের বাবা মার হাতে তুলে দেন। মনিরের চিকিৎসায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রায় বিশ হাজার টাকা প্রয়োজন। মনিরের মা বলেন, স্বামীর দিনমজুরির উপার্জনে সন্তানদের পড়ালেখার খরচসহ খাদ্যের টাকা জোগানোই কষ্টকর হচ্ছে। মনিরকে বাঁচাতে তার পিতা-মাতা দানশীল ও বিত্তবানদের দৃষ্টি কামনা করছেন।