ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে একজনের ১০ দিনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২৫

হারুন অর রশিদ দুদু : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আবারও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে চললো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। এবার আটক হলেন মো. আরিফ (২০) নামে এক যুবক, ওই যুবককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম রাসেল।

১১ জুলাই শুক্রবার রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাতটা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের বগাডুবি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে আরিফকে বালু পরিবহনের সময় হাতেনাতে আটক করা হয় এবং আদালতের রায়ে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে আরও তিনটি অটোভ্যান এবং একটি বালু বোঝাই মাহিন্দ্র ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। এর আগে, ১০ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে কাংশা ইউনিয়নের আয়নাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার, কয়েকশ মিটার পাইপ ও বাঁশের তৈরি একটি টাওয়ার ধ্বংস করে উপজেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সকল বালুমহাল বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবুও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু সিন্ডিকেট এখনো রাতের অন্ধকারে নদ-নদী, খাল ও গারো পাহাড়ের ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিতভাবে দিন-রাত অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে সহায়তা করেছেন থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী এবং আনসার সদস্যরা। ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল জানান, “নদী ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সরকারি সম্পদ রক্ষায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, যারা আইন ভাঙবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলায় এমন ধারাবাহিক অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াবে এবং অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আশা করছেন স্থানীয় প্রশাসন।