শেরপুরে এবার বিডি ক্লিনের ৪ মাসের সহায়তা পেলো এক অসহায় পরিবার

প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের উদ্যোগে এবার টানা ৪ মাসের সহায়তা পেলো এক অসহায় হতদরিদ্র পরিবার। ১৬ মে শনিবার বিকেলে শহরের মোবারকপুর আখের মাহমুদ বাজার এলাকায় জুলেখা খাতুন, শ্রমিক স্বামী-জামান ও ২ সন্তানসহ ৪ সদস্যের পরিবারের হাতে প্রথম মাসের ৬ হাজার ২শ ৫০ টাকার সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছিলো ৫০ কেজি চাল, ৬ কেজি আলু, ৪ লিটার তেল, পেঁয়াজ ৪ কেজি, ৩ কেজি ডাল, দেড় কেজি রসুন, ৭৫০ গ্রাম আদা, হলুদ ও মরিচের গুড়া ২ শ গ্রাম, ৮ পিস সাবান, দেড় কেজি হুইল পাউডার, ১ কেজি লবণ এবং কাঁচা বাজারবাবদ ১ হাজার ও চিকিৎসাবাবদ নগদ ৪শ টাকা। বাকি ৩ মাসের সহায়তা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।


সহায়তা বিতরণকালে বিডি ক্লিনের উপদেষ্টা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া ও এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা সমন্বয়ক আল আমিন রাজু, সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান শামীম, উপ-সমন্বয়ক (মিডিয়া ও আইটি) রবিউল ইসলাম রানা, সাবেক উপ-সমন্বয়ক (মিডিয়া ও আইটি) এমদাদুল হক রিপন, সহকারি উপ-সমন্বয়ক (মিডিয়া ও আইটি) তাপসী জহুরা, মনিটর আশরাফুল ইসলাম, কাকন মিয়া, আল আমিন, জুয়েল মিয়া, আল আমিন (২) এবং স্থানীয় সমাজ সেবক ডা. শরাফত আলী, প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম রুবেল, ডা. এসআরডি আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিডি ক্লিনের উদ্যোগে ওই দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা পেয়ে দারুণ খুশি অসহায় পরিবারটি। এ বিষয়ে গৃহবধূ জুলেখা খাতুন বলেন, তিনি নিতান্ত্যই একজন গৃহিনী। বসতবাড়ী ছাড়া তাদের কোন জায়গা-সম্পদ নাই। তার স্বামী পাশের ইটের ভাটায় ইট টানার কাজ করেন। তাদের জাহিদ মিয়া (১৪) ও কবিতা খাতুন (৯) নামে ২ সন্তানের মধ্যে দু’জনই শিক্ষার্থী। কিন্তু বর্তমানে ইট ভাটায় ইট টানার কাজ না থাকায় স্বামী বেকার হয়ে ঘরে বসে আছেন। ফলে খুব কষ্টে চলছিলো তাদের সংসার। একই কথা জানিয়ে গৃহকর্তা জামান বিডি ক্লিন ও সহায়তা প্রদানকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে বিডি ক্লিনের জেলা সন্বনয়ক আল আমিন রাজু জানান, করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সারা দেশে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের তালিকা করে বিডি ক্লিনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রথম ধাপে ঢাকা (উত্তর) সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের আর্থিক সহায়তায় লটারীর মাধ্যমে বাছাই করা হয় ১শ হতদরিদ্র পরিবারকে। এর মধ্যে শেরপুরের ৫ জনের নাম উঠে। ওই ৫ জনের মধ্যে প্রথমেই জুলেখা খাতুনের পরিবারে সহায়তা বিতরণ করা হয়। খুব দ্রুতই অন্য ৪ জনকেও একইভাবে ওই সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, শেরপুর জেলা থেকে প্রায় ১৫শ অসহায় মানুষের তালিকা পাঠানো হয়েছে। যেকোন দানশীল ব্যক্তি তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারেন। নিতে পারেন যেকোন পরিবারের দায়িত্ব।