শেরপুরে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমায় চেল্লাখালী নদীর পানি অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৫ ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা চার দিনের বৃষ্টিপাতে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (১৯ মে) রাত ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অন্য নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। তবে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা সবচেয়ে বেশি পানিতে রয়েছে। এদিন সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি নকুগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯৭ সেন্টিমিটার নিচে, ভোগাই নদীর নালিতাবাড়ী পয়েন্ট বিপৎসীমার ২৫৭ সেন্টিমিটার নিচে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ৬৮৭ সেন্টিমিটার মিটার নিচে এবং চেল্লাখালী নদীর বাতকুচি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শেরপুরে বন্যার শঙ্কা, বিপৎসীমায় চেল্লাখালী নদীর পানি এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এখনো জেলায় ৮ শতাংশ ধান টাকা বাকি রয়েছে। এছাড়াও কেটে নেয়া অনেক ধান মারাই হয়নি। অনেক কৃষকের খড় এখনো কাঁচা। টানা বৃষ্টিপাতে অনেকের কেটে নেয়া ধান ও খড় বৃষ্টির পানিতে পচে যাচ্ছে। খেতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ধান কাটতে সময় বেশি লাগায় শ্রমিকের সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু নিচু এলাকায় পানিতে জোঁকের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়ে পানিতে নামতে পারছে না কৃষক। এ বিষয়ে শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ৯২ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। সোমবার জেলার তিনটি উপজেলায় নিজে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। বৃষ্টির জন্য কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ক্ষেতে নামানো যাচ্ছে না। কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে ইতোমধ্যেই মাইকিং করা হয়েছে। আশাকরি এক সপ্তাহের মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হবে। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। টানা কয়েকদিনের ভারতের দুটি প্রদেশের বৃষ্টি এবং এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ফলেই এই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাঁধগুলোতে নিয়মিত নজরদারি রাখছি। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মো. আশরাফুল আলম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জরুরি সভার আয়োজন করেছি। এ ছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। অতি দ্রুতই পেয়েও যাব। এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে বসে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। Related posts:শেরপুরে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজাতে বাধা দেওয়ায় রিকশাচালক খুনশেরপুর-৩ আসনে শহিদুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় আনন্দ মিছিলঝিনাইগাতীতে ৩২ বোতল ভারতীয় মদসহ গ্রেফতার ১ Post Views: ৩২ SHARES শেরপুর বিষয়: